কামরুল ইসলাম হৃদয়, চট্টগ্রাম:
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রবর্তিত পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ১২৪ ও ২০১৬ সালের ১৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন মেডিকেল কলেজের ২ শিক্ষার্থী রয়েছেন। ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণপদক বিতরণ উপলক্ষে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে উচ্চশিক্ষায় দেশের সেরা মেধাবীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেন সহ ইউজিসির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। চবি থেকে এ পদকে ভূষিত হওয়া ২০১৫ সালের শিক্ষার্থীরা হলেন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ থেকে আরবি বিভাগের ইমাম উদ্দীন (৩.৮৪), ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে ফিন্যান্স বিভাগের জিনাতুল মাওয়া (৩.৮৯), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের রিফাত জাহান লরেন (৩.৭৩), বিজ্ঞান অনুষদ থেকে পরিসংখ্যান বিভাগের দিপা রাণী দাস (৩.৯০), জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মো. এমদাদুল হক, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আতাউর রহমান (৩.৯৩), আইন অনুষদের আইন বিভাগ থেকে নূর ইসরাত জাহান (৩.৭২) ও মেডিসিন অনুষদ থেকে অধিভূক্ত মেডিকেল কলেজের রাকিবুল আমিন বিজয় (১১৮৬)। অপর দিকে, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ থেকে দর্শন বিভাগের আহসানউল্লাহ রাফি (৩.৫৮), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের সুস্মিতা আচার্য্য (৩.৫৮), বিজ্ঞান অনুষদ থেকে গণিত বিভাগের পারভীন আক্তার (৩.৮৮), জীব বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জান্নাতুন নাঈমা (৩.৯৩), ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চৌধুরী উম্মে কুলসুম (৩.৯৬), ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (৩.৯১) ও মেডিসিন অনুষদ থেকে অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজের সুমাইয়া তাসনীম (১২২০)। এদিকে স্বর্ণপদক ২০১৫’র জন্য মনোনীত হওয়া আরবি বিভাগের ইমাম উদ্দীন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘একজন মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিজের প্রচেষ্টা বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। এর চেয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে মা-বাবার দোয়া ও শিক্ষকদের গাইডলাইন। আমি মনে করি আমার এই পদক অর্জনের পিছনে আমার মা-বাবার প্রচেষ্টা ও ছোট বেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যে সকল শিক্ষকবৃন্দ আমাকে পাঠদান করেছেন, তাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও তদারকি বিরাট ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ছোট বেলায় যদি তারা আমাকে বড় বড় স্বপ্ন না দেখাতেন, তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে পা রেখে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অর্জন করা সম্ভব হত না।’

উল্লেখ্য, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে এবং মেধাবিকাশে উৎসাহিত করতে ২০০৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রবর্তন করা হয়।